বাক্‌ ১১১ : সঞ্জীব চট্টোপাধ্যায়




অগ্নিবল ও সরকারি শহিদ


এত রশদ আমি খুঁজে পাইনি যতটা আমার ঘর
হাওয়া ঢুকে বেরিয়ে যায় জানলার হাত ধরে
লোহা গলে যে শিক তৈরী হয়েছিল গনগনে আঁচে
তার আঙুল হাওয়ার হাত ধরে
হাওয়া তাকে ভেতরে নিয়ে আসে
আমার ঘুরপাক খাওয়া চেয়ারে বসায়
ওর হাতে ঘোড়ার চাবি দিয়ে সীমান্ত ছুটিয়ে দেয়
পাখা ঘুরতে থাকে নিজের মত
ঘড়ির কাঁটা কম্পাসের ভেতর
দূর
বীণ পথ চেনায়
চোখের সঙ্গে সঙ্গম যার
সে আমার প্রয়োজনীয় নয়
আমার অগ্নিবল যুদ্ধভূমি নামে
গোলাকার চারপাশ, সুতোকাটা ৪৭
চব্বিশ সাইকেল রিং
স্তম্ভ
শুয়ে আছে। তেরঙ্গা
সন্তুরে শিবকুমার
সানাইয়ে বিসমিল্লা খান
বিদায়ের সুরকার; আজ সুর কার
হরিপ্রসাদ বাজাই নি তো-
গোলার আওয়াজে মিশে যাচ্ছে
দরদাম করা মাথার তাজ
জীবন্ত বুড়ো আঙুল
এইমাত্র থেমে যাওয়া ত্রিকো
প্রেমের কপাটিকা

যুন্ধ সবিনয় হও
বিনয় মজুমদার তুমি হতে পারবেনা
অঙ্ক, কবিতা, রাজনীতি, গোষ্ঠী বিরোধিতা
তোমার নয়
তুমি তো নিজের সঙ্গে
পরম আত্মার সঙ্গে অবিরাম
তবু তোমার কেতাবি নাম
বীর
বার বার সংজ্ঞা হারালে
শোক
ক্ষতিপূরণের চেক বাউন্স হলে
লজ্জা।


                                                                   (চিত্রঋণ : bob coonts)

3 comments: