বাক্‌ ১১১ : পলাশ কুমার পাল





বাস্তব


টেনে টেনে চামড়া তুলে দিলে
ঝোলে মাংস
ঝরে পড়ে মাসরস

বিপরীতের বারান্দায় বসা ছেলেটি তাই আঁকে
যে খাতার নেই মলাট

গলিপথে বাজারের থলি হাতে সকাল,
আঁশের মতো ছড়িয়ে পড়ে




সাঁকো

ধরে নাও
এক মৃতদেহ শুয়ে আছে নদী হয়ে,
একপাশে কান্না
একপাশে হাসি
একটা সুতো ধরে দাঁড়িয়ে।

পিঁপড়েরা সহজেই পার হয়ে যায়...
অঙ্কজানা ছেলেটি পার হতে পারে না কিছুতেই-

সমস্ত মৃত-সূত্রে শুয়ে
বেঁচে ওঠা সংখ্যার সারিরা হাততালি দিয়ে বলে
'ওহে, বেঁচে ওঠা অত সোজা নয়!'




সম্পর্ক

বা তেল ঢালো
বা জল ঢালো
বা দুধ ঢালো,
মেঝেতে কাগজ চিটিয়ে যাবেই!

মেঝে শুকালে কাগজ ওড়ে,
উড়ে উড়ে যায় এক অসুখ
হোমিওপ্যাথি বাক্সের খোপে খোপে...

শুধু কাগজের কবিতারা ডানাহীন চাঁদ,
মাবস্যায় ঝাপসা শব্দে দূরবী বসিয়ে
একটা রাত
শব্দছক পাতে-


                                                          (চিত্রঋণ : Zdzisław Beksiński)

3 comments: