[নবম
পর্ব]
সেই মেয়েটি এর চেয়ে নিকটতর হল না
কারণ, আমাদের
জীবন পাখিদের মতো নয়
যদি হত
সেই মাঘের নীল
আকাশে
(আমি তাকে নিয়ে)
একবার ধবলাটের সমুদ্রের দিকে চলতাম
.....
আমি কোনো এক
পাখির জীবনের জন্যে অপেক্ষা করছি
তুমি কোনো এক
পাখির জীবনের জন্যে অপেক্ষা করছো
—‘হাজার
বর্ষ আগে’, জীবনানন্দ দাশ
রাতের ফুল শাদা
দ্য আয়রনি অফ লাইফ ইজ দ্যাট ইট ইজ লিভড্
ফরওয়ার্ড বাট আন্ডারস্টুড ব্যাকওয়ার্ড
—কিয়ের্কগার্দ
এক-একটা
দিন থাকে আজব ঘটনা দিবস। অপ্রত্যাশিত সব জিনিস ঘটে যায়। আজ একটা আজব ঘটনা দিবস মনে
হচ্ছে। যে জায়গাটায় রাণীকুঠির অটোগুলো ছাড়ে, সেখানটায় দেখা হয়ে গেল প্রীতিলতার সাথে।
প্রীতিলতা ওয়াদ্দেদার। গড়িয়া টু গোলপার্ক রুটের অটোগুলো ছুটছে তখনও রাস্তার দু পাশ দিয়ে। সন্ধের পর চা-রোল-টিফিন গিলবার ভিড় তখন এক-একটা দোকানে। দেদারসে
বিক্কিরি চলছে। ভুট্টা চপ তেলেভাজা এগরোল চাউমিন মাটনরোল।
প্রীতিলতা একসময় আমার কাছে পদাবলী সাহিত্য
পড়তে আসত। ও-ই প্রথম আমাকে বলে, আচ্ছা স্যর
পদাবলী সাহিত্যে প্রথম রক্তের অনুপ্রবেশ কে ঘটান? এবং তা কোন্ পদে? বলতে পারিনি। তা দেখে সে কি খিলখিল হাসি মেয়ের। তারপরে গম্ভীর হয়ে বলেছিল, কেন? ভানু
সিংহ। রক্তকমল কর রক্তঅধরপুট।
অনেক বছর পর হঠাতই দেখা হয়ে গেল সেই প্রীতিলতার সাথে। ওর
সঙ্গে ছিল বীরসা। পরিচয় করিয়ে দিল। আগে কখনও দেখিনি বীরসাকে। ওরা রাণীকুঠির দিকে থাকে এখন। কনসিভ করেছে প্রীতিলতা। সাত মাস চলছে। মার্চের ফার্স্ট উইকে ডেলিভারি ডেট। শ্যামলা
একটা রঙ আলগা হয়ে লেগে আছে ওর মুখে। চুলগুলো এখনও মফস্বলি চিরুনির ভাষা বোঝে।
বাজার করে
ফিরছিল ওরা। বীরসার হাতে বাজারের ব্যাগ, তা থেকে উঁকি দেয় শাক, সব্জি। খবরের কাগজ মোড়া একটা মোটা বই ছিল প্রীতিলতার হাতে। বইটা আমার হাতে দিয়ে সে কি আকুল হয়ে বলল,
‘স্যর, এটা রাখুন আপনার কাছে। কাউকে দেবেন না।’ বলতে বলতে একবার চোখ অল্প তুলে তাকিয়ে দেখল কি বীরসার
দিকে? ‘আমি নিজে এসে যদি চাই তখনই দেবেন আমাকে। অন্য কাউকে না।
একদিন যাব আপনার ওখানে। অনেক কথা আছে। কাছেই তো থাকি।’
জিজ্ঞেস করলাম, ‘কেমন আছ প্রীতি?’
প্রীতিলতা চোখের তারায় আলো ঝিকিয়ে হাসে।
‘ভালো আছি স্যর।’
‘রাজনীতি
করছ তো এখনও?’
‘হ্যাঁ।
ওই ইনফ্যানটাইল, মিলিট্যান্ট, যা বলুন। করছি।’ একটু থেমে, কী ভেবে বলে, ‘বলব আপনাকে একদিন সব। আমার নতুন নামও হয়েছে সেখানে। আজ আসি স্যর। সময় পেলে পড়বেন বইটা।’
প্রীতিলতা আর বীরসা হাঁটা দেয়। আমি ওকে পিছু ডাকি।
‘কী নাম, বললে না তো?’
‘মিলি’, প্রীতিলতা ঘাড় ঘুরিয়ে বলে।
বইটা হাতে নিয়ে দাঁড়িয়েই থাকি। চলে যায় প্রীতিলতা। মস্তিষ্ক এবং পায়ের মধ্যে যে বার্তা-সংযোগ, থেমে গেছে, ওই
মুহূর্তে। সন্ধ্যার এই আকাশস্থলের নীচে পা-কে কোন্ দিকে যেতে বলব আমি। যুদ্ধের সময় কত গ্রেনেডই তো ফাটে না। না ফেটে মাটি চাপা পড়ে
থাকে। অনেকবছর বাদে কেউ তা খুঁড়ে পায়। অনেকবছর বাদে তা কারও হাতে ফাটে।
প্রীতিলতাকে সেরকমই ঠাণ্ডা একটা কার্তুজ মনে হয়। কে
তাকে ফেলে দিয়ে গেছে এই উপকূলে। এখন সে নিজেকে সেঁকে নিচ্ছে ফাটবে বলে।
একটু বাদে, নিজেই ফিরে আসে প্রীতিলতা। একাই। সাথে তখন
বীরসা নেই।
—‘আপনি ফাঁকা আছেন স্যর? যাবেন আমার সঙ্গে?’
হ্যাঁ-না বা কোথায়, কিছুই বলা
হয় না আমার সে মেয়েকে। টানেল ভিশনের মতো দৃষ্টিক্ষেপ নিয়ে হেঁটে যাই। রাস্তা পেরিয়ে অটোয় চাপি দুজন। গড়িয়া। এত রাতেও এঁকাবেঁকা কি ভিড় আনাচেকানাচে। অনেক ফুল কেনে প্রীতি, গড়িয়ায় নেমে। এত ফুল কেন, কার জন্য, কোথায়ই-বা নিয়ে যাচ্ছে সে আমাকে, জানা হয় না। উলটো
দিকের একটা পেল্লাই ঢাউস বাসে উঠে পড়ে প্রীতিলতা। আমিও। ফাঁকা বাস। কতদূর যাবে এই বাস, জানা নেই। এসব
বাসে লোকে দাঁড়িয়ে যায় না। সীট ভরে গেলে তখন রাস্তায় হাত দেখালেও থামে না এ বাস।
সীটের আশেপাশে কত জায়গা ফাঁকা। আরও সীট বসানো যেত। অজয়নগরে নামি। গর্ভবতী ভারী শরীর নিয়ে ধীরে ধীরে হাঁটছে প্রীতিলতা। হেঁটে হেঁটে সন্তোষপুর।
কেউ কোনও কথাই বলি না। কোন্ শূন্যে চেয়ে আছে সে। সেই গম্ভীর শূন্যের ভেতর ঢুকতে ভয় হয়। তার খনিমুখ থেকে ভাষা খুঁজে আনতে ভয় হয়। ভয় হয় শূন্যের
দরজায় টোকা দিতে। আবার একটা বাস। মুকুন্দপুর বাজার। নেমে পড়ি। অটো। যাদবপুর। ট্রেন। শেয়ালদা। শেষ রাতের প্রায় ফাঁকা
ট্রেন। ঠাণ্ডা হাওয়া এতোলবেতোল ঝাপটা দেয় মুখে। প্রীতিলতা
মাথা এলিয়ে রাখে আমার কাঁধে। হাতে শক্ত করে
ধরা ফুলগুলো। কুয়াশা আর বৃষ্টিতে চুবিয়ে ট্রেনের জানলায় মেলে রাখা
হয়েছে এই রাত। হালকা কিসের একটা আলো জানলার বাইরে থিতিয়ে পড়ে থাকে সকরুণ, সারাক্ষণ। অন্ধকার ফুটো করে ট্রেন যাচ্ছে। ঢাকুরিয়া। বালিগঞ্জ। পার্ক সার্কাস। রাতের ক্লান্ত এক-একটা ভারী ব্যাগের মতো লোক
ওঠে। লোক নামে। শেয়ালদায় নেমে, ছবিঘরের পাশ
দিয়ে এম জি রোড, বৃষ্টির জল আর ধুলো মিশে কালো কাদা, তাতে লোকের পায়ে
পায়ে মিশে যাচ্ছে ফুলকপির ডাঁটা, আধভাঙা ঢ্যাঁড়শ। সব্জি, চা, পরোটা, মোবাইলের
চার্জার, টর্চ, চাইনিজ ইলেক্ট্রনিক্সের দোকানগুলো বন্ধ হবে হবে করছে। বাস। হাওড়া। কারোর কোনও তাড়া নেই। কোনও গন্তব্য নেই। এই রাতের ঠিকানা রাস্তার
জন্য লেখা। সারারাত হাওড়া স্টেশনেই
কাটিয়ে দিলাম। কখনও প্রীতিলতার কোলে মাথা রেখে আমি। কখনও আমার কোলে মাথা, প্রীতি। ক্লান্তি, ঘুম, অবসাদ, ঝিম, শূন্যতা, ভারী জিভ, অবশ চোয়াল-দাঁত-আলটাকরা এদের জমাট স্যাঁতস্যাঁতে দেওয়াল চুঁইয়ে কোনও শব্দ বাক্য ধ্বনিই আর উঠে আসে না আমাদের গলায়, মুখে, ঠোঁটে। এখানে আরও যত লোক
চেয়ারে, বেঞ্চে, নীচে মেঝেতে বেডকাভার খবরের কাগজ পেতে শুয়ে আছে বসে আছে, সবাই আছে
কিছুর অপেক্ষায়। কিছু অভীষ্ট আছে তাদের। আমরা কীসের অপেক্ষা করছি। দুটো আত্মসচেতন দেহের মধ্যস্থিত বিশুদ্ধ শূন্যতা একটিকে অপরটি
থেকে শুধু বিচ্ছিন্নই রাখে না, উভয়েই নিষ্ক্রিয়ভাবে সে শূন্যতা প্রত্যক্ষ করে। করে
যায়। করে যেতে হয়।
একবার শুধু বলি, যতবার আসি এই হাওড়া
স্টেশনে, যতবার যাই শেয়ালদায়, মনে হয়, এই যে দুটো বৃহৎ স্টেশনের ভিড়, এই দুজায়গার
ভিড়ের মানুষগুলোর মানসিকতাই আলাদা। হাওড়ার এই লোকগুলোই শেয়ালদায় যাবে। সেখানে গিয়ে
অন্য লোক হয়ে যাবে। দুটো ভিড়ের চলন বলন সহবতই আলাদা।
ভোর চারটের দিকে গিয়ে বসি গঙ্গার তীরে। অল্প অল্প করে ভোর ফুটছে। কিন্তু ভোরের আলো
নেই এখনও। ঘড়ি না দেখলে রাত বলেই মনে হয়। এই ঠাণ্ডাতেও স্নান করছে
কতজন। মালিন্য ধুয়ে দাও জল হে, গঙ্গা। একটা গাছের
নীচে চাতালে বসে থাকি। ‘জানার যন্ত্রণা
অনেক বেশি। অপ্রত্যাশিতর বিহ্বলতা তো তার থাকে না। তাকে ধীরে সুস্থে ঠান্ডা মাথায়
ফাঁসির দড়িটা নিজের গলায় পরতে হয়।’ সারারাতের
নিস্তব্ধতা সরিয়ে এই তিনটি বাক্য বলে প্রীতিলতা, গুণে-গেঁথে তিনটি বাক্য। ওর খুব মৃদু স্বর ভোরের এই শান্ত নদীপাশে জলের শব্দের সাথে মিলে যায়। মিশে যায়
না। ভেসে থাকতে হয় বলে ভেসে আছে, নইলে ডুবে যেত—এমনভাবে একটা ছোট ডিঙি
ভেসে যাচ্ছে গঙ্গায়। যেন তার ধীর চলার সাথে সঙ্গত রেখেই ধীর উচ্চারণে প্রীতিলতা
তিনটি বাক্য বলে।
স্ট্যান্ড থেকে একটা বাস ধরে, এসপ্লানেড। মনুমেন্টের পাশে বেঞ্চগুলোয় বসি। অনেকক্ষণ। ওখানে বসেই ঘুমিয়ে পড়ি। সকালের পাখি ও মানুষ জমেছে আশেপাশে। একটা ট্রাম। খিদিরপুর।
ময়দানের কুয়াশার ভেতর দিয়ে সি টি সি-কে নিয়ে চলেছে। এখনও শরীর চর্চা আর স্বাস্থ্যরক্ষায়
পরম বিশ্বাস আছে কত লোকের—সকালে ময়দানে এলে বোঝা যায়। কতটা ভালো এবং শান্ত মেজাজ
থাকলে রোজ এমন লাফানো যায়, হাত ছোঁড়া যায়, নিয়মিত কোমর ঝুঁকিয়ে পায়ের বুড়ো আঙুল
ছোঁয়া যায়। প্রীতিলতার হাতে তখনও শক্ত ক’রে ধরা
ফুলগুলো। খিদিরপুর থেকে বাস। আবার হাওড়া। কেউ যদি আমাদের গতিবিধির ওপর লক্ষ্য রেখে ম্যাপ আঁকতে বসে, পাগলই ভাববে। কোথায় চলেছে এরা। কেন যাচ্ছে। এদের মস্তিষ্কও বোধয় জানে না। বাস হাওড়া ঢোকার আগে, জেটি ঘাট।
নেমে পড়ি। স্টীমারে ওপার। হাওড়া। কুয়াশার ভেতর পাতলা পেন্সিল স্কেচের রেখা নিয়ে ঝুলছে হাওড়া ব্রীজ। যেন
এক্ষুনি রাবার দিয়ে মুছে দেবে কেউ। প্রীতিলতা গতকাল রাত
থেকে ধরে থাকা ফুলগুলো ছুঁড়ে দেয় গঙ্গায়। স্রোত ভাসিয়ে নিয়ে যায়। তখনও
স্টীমার ছাড়েনি। জলের দিকে তাকালে মনে হয় স্রোতের উলটোদিকে চলেছে স্টীমার। আসলে
দাঁড়িয়ে আছে। হাওড়ায় নেমে, বাস স্ট্যান্ডের কাছে একটা ইউরিনালে ঢুকি। তলপেট
টনটন করে। পুরুষের পেচ্ছাপ ইউরিনাল থেকে বাইরে, নীচুতে ঢালু বেয়ে গড়িয়ে গড়িয়ে চলে
গেছে। বাইরে দাঁড়িয়ে প্রীতিলতা। সারারাত দু’জনে প্রায় কোনও কথাই বলিনি। যেন আর কোনওদিনও দেখা না হওয়ার, কথা না হওয়ার গুমড়োনো শোক
নিয়ে বসে ছিলাম।
ইউরিনাল থেকে বেরিয়ে দেখি, প্রীতিলতা নেই। ডান দিকে বাঁ দিকে, সারবেঁধে দাঁড়ানো বাসের পেছনে, বাসের
ভেতরে, পেচ্ছাপ মাড়িয়ে যাওয়া লোকের জুতোর জলছাপ দাগে, স্টীমারের বাসের ট্রামের ট্রেনের টিকিটে কোনও রাস্তায় কোনও দিকেই সে নেই। কী ভাবনা সাথে নিয়ে এসেছিল প্রীতিলতা?
ওই সম্মোহিত শোকের ঘোর কোথায় পেল সে? সকালের এই হাওড়া স্টেশনের অপ্রতুল ভিড়ে, ইউরিনালে, বাসের জানলায়, রাস্তায়, কুয়াশায়, ধোঁয়া ওঠা ভাঁড়ের চায়ে, শীতের শ্লেষ্মায়, সেই ভাবনার গুঁড়ো ও মিশ্রণ ছড়িয়ে আছে যেন। লেগে যাচ্ছে লোকের মাফলারে। চুমুক
দিয়ে খেয়ে ফেলছে লোকজন। প্রাচীন হরপ্পান লিপির মতো তা ডিকোড করা যায় না। দু’টো
মানুষ যেন ভারতবর্ষের আত্মা হয়ে, দু’টো সভ্যতা হয়ে ঘুরছিল কাল, সারারাত। দিক্শূন্য। বিহ্বল। যাদের ভাষা ছিল। আছেও। কিন্তু কেউ তা পড়তে পারে না।
একদিন যদি সমুদ্রের তলায় চলে যায় এই বাঙলা ভাষা। যদি ভূমিকম্পে ধ্বসে মাটি চাপা পড়ে কয়লা হয়ে যায় হাজার বছরে। তখন কেউ তাকে উদ্ধার করে আনবে, কিন্তু যদি পড়তে না পারে তার
লিপি? যদি আর কোনওদিনও পড়তে না পারে ঢোঁড়াই চরিত মানস কারুবাসনা পুতুলনাচের ইতিকথা স্যার
যদুনাথের আদি ভারতবর্ষের ইতিহাস। শীত করে আমার। ভূতেরাও কি ভূত দ্যাখে? ভূতেরাও ভয় পায়? কাল রাত থেকে এতক্ষণ কে ছিল আমার সাথে। কীভাবে এলো সে এখানে!
কী বলতে চেয়েছিল প্রীতিলতা। ইতিহাস যদি কোনওদিনও জিজ্ঞেস করে, উত্তর পাবে না পাবে না। শুধু আমার হাতে রয়ে যায় প্রীতির দেওয়া মোটা বইটা। কাগজে মোড়া।
ফিরে
যাব বলে বাস ধরতে এগোলাম, পকেটে হাত রেখে দেখি, সিগারেট নেই। কিনব বলে ওখান থেকে
বেরিয়ে পেছনের রাস্তায় উঠে আচমকা ঋত্বিক আর নবারুণের সাথে মুখোমুখি। অত সকালেও
পূর্ণ টলমান ঋত্বিক আমার সামনে এসে হাতে ধরা বাঙলার বোতলটা তুলে বলল, ‘আমার হাতে
সুধা আছে। চাও কি?’ আমি ওর কাঁধে হাত রাখতেই প্রায় কেঁদে ফেলল।
‘বঙ্কিম,
আই অ্যাম লক্ড আপ অ্যান্ড মাই ভেইনস্ আর রানিং
অ্যাওয়ে, অল দ্য মিরর্স্ শো মি দ্য সেম থিং... আ ব্লাডি লক্ড ডোর।’
ওর কথা শুনে বলি, ‘তাহলে বন্ধ দরজা খুলে এত সকালে চল্লেন
কোথা? দরজা খুল্লেনই বা কী করে!’
‘ডুয়ার্স
যাচ্ছি’, বলে ঋত্বিককে প্রায় টানতে টানতে নবারুণ এগিয়ে যায় প্লাটফর্মের দিকে। যেতে
যেতে ডানদিকে একবার ঘাড় ঘুরিয়ে বলল, ‘ফিরে কথা হচ্ছে’। ওর কাঁধে হাত রেখে ঋত্বিককে
জড়ানো-মড়ানো গলায় বলতে শুনি, ‘দ্য ডেজ আর সিক... ইউ
হ্যাভ টেক্ন্ মায় পালস্... অ্যান্ড মি... আই অ্যাম আ মেমোরি জয়েনড্ টু ইওর
ভেইনস্...’
কথাগুলো শেষদিকে ক্রমে মিলিয়ে গেলেও শোনা যায়, যদিও আবছা।
(চলবে)
বেশ লাগছে। ফুরফুরে হাওয়ার মতো। চলুক।
ReplyDelete