।। ঈশ্বর। ফুলবাগান । আমি
।।
একবার ঈশ্বর আমার বাগানে
ফুল ছিঁড়তে ঢুকেছিলেন। পারমিশনহীন হুটোপুটির রোদে। স্বপ্নিনী মানুষের জাগতিক জীবনে
অকস্মাৎ এমন ঘটনা বিরল। আমার বাগানের ফুলগাছগুলো টইটুম্বুর হ'য়ে উঠছিল তখন আদুড়গায়ে।
একগাদা পুষ্প আর কুঁড়ি নিয়ে যেন গর্ভবতী বিবি। ভর্ত্রী। বৃক্ষের ফুল ছেঁড়ার প্রতি চিরকালব্যাপী আমার তোলপাড় রকমের অনীহা। অনাগত অসম্মতি। আমি আবিষ্কার
করলুম অনীশ্বর শরীর আর মনের দোসর এই বিস্তৃত আরণ্যক। আস্তৃত ফুলরাশি। সেহেতু আমার বুদ্ধি
সংলগ্ন হৃৎপিণ্ডের গহ্বরে মগজের তল্লাটে দীর্ঘরাগ আর সুদীর্ঘ বিলোড়িত ক্ষোভ জন্মালো।
ক্রমে ক্রমে তার পর্যায় পরিণত হ'লো সাংঘাতিক কিছু করার। উস্কানিমূলক অনধিগম্য চরমের।
আমি ঈশ্বরকে চিনতাম না কস্মিনকালেও। ঐশ্বরিক বরাতের কসরতে তাই স্বপ্রহার হ'লো বরাদ্দ।
আমি অপলাষীণ্ উগ্রসংক্রমিত মানুষের মতন ঈশ্বরকে চোর ভেবে প্রচণ্ড ঠ্যাঙালাম ফুলবাগানে।।
।। নিহন্ত্রীশব ।।
মশাই মাখিয়ে এনে চড়ুই
আমাকে খাওয়ালেন। এই পেল্লায় পৃথ্বীর আমি-ই প্রথম কলেবর যে নিজের ডিম্বাণু শুক্রাণু
নিজেই খাই স্তব্ধ হ'য়ে বাগানবাটিতে। জ্যোৎস্নার অতীন্দ্রিয় স্পর্শে। মৌক্তিক সুষুম্নায়।
ফাজিল আর কাকে বলে মশাই দেবতার পূর্ণঘট ভ'রেছি বীর্যপাতের জলজ জেলিতে। মহাকেলেঙ্কারি
করলাম কি শালীনের আলায় নিহন্ত্রীশব এনে। আহা মেছুয়া মিনষে তোর মেজাজের আজ পোঁদমারি।
রতিবিনা ফিদাপতি ফলুকপির মতন। ক্রমাগত অবাঙ্মুখ শর্বরী-শর্বরিনীর শামিয়ানা সাজাই খাঁজকাটা
নয়নের সৌজন্য যাপনে। এই পর্যটনউপকেন্দ্রের উন্নাসিক পাহাড়ে চড়ুইভাতি খাই। জালি জালি
কুমুদ্বতী পদ্মের কোরক খাই। ফোটাই । আর মাঠঘাট ভ'রে থুয়ে দিই মৌহারী বংশী। শালিখপাখির
ডিগবাজি।।
(চিত্রঋণ : Hieronymus Bosch)
পড়ে গেলাম বিশ্বরূপের কবিতা ২টি। গল্পবলার একটা প্রবণতা; তাকেই কবিতা করে তোলা । আগ্রহ রেখে গেলাম ওঁর কবিতায়।
ReplyDeleteসাংঘাতিক সুন্দর ভাই । কথার যাদু তোমার ফুলবাগানে আমার মন কে এক নিমেষে টেনে নিয়ে গেল । আশা রাখছি ওই বাগানে ভবিষ্যতে আরও অনেক সুন্দর সুন্দর কবিতার ফুল ফুটবে ।
ReplyDeleteকবিতা-শরীরে গল্প বুনে দেওয়ার চেষ্টা আছে। কবিতাতেও অনেক সময় গল্প বা তার আভাস থাকে। এখানে আছে সরাসরি। তবে পড়তে ভালো লাগল বেশ। বিশ্বরূপের এগিয়ে যাওয়া দেখতে চাই আরও।
ReplyDelete