বাক্‌ ১১১ : রত্নদীপা দে ঘোষ




ভুট্টাসমগ্র

 
ভুট্টা আঠারো মাত্রা এবং চোদ্দো পংক্তি
মাথার মুকুটটি সরিয়ে দিলে। অনায়াস সনেট। মুকুটপরা অবস্থায় ,ছোটগল্প। অন্ত্যমিলরহিত ।
আঙ্গিকে মিল না থাক্লেও প্রতিবার , শেষ হবার পরেও একটা রেশসিনেম্যাটিক ।
আকাশ , চাঁদকেও কাঁপিয়ে। ঝাঁপিয়ে একসাসন্দেহ হয় , বিনয় নিজে কি?
চুম্বক ? ????? নাকি শীঘ্রঝলসানো অ্যানাটমি ?

চাঁদের শরীরে প্রচুর সেক্সভাইটামিন ... স্তনের সাম্রাজ্য ...
চিকবোনগুলিও হানিগ্রাম। তৈরি উদোম ... টর্পেডো আক্রান্ত চৌচির
একমাত্র সে-ই জানে। বিনয়ের ভুট্টা খোদ হাইকুসম্রাট
তরলের টেলিকাস্ট। সামান্য টার্বুলেন্স জল্পানো।


 
বিনয় বললেনচেপে ধরো আমার ভুট্টাকে চেপে।
ভুট্টা খাবার জন্যে খুল্ললাম দাঁতের চোখ
আনন্দে। কাঁদতে কাঁদতে বিনয় বললেন। চোষো এ ক টু। একটু সাক করো।
চুষছি ।
চুষছি ওঁ স্বাহাচুষছি স্বধা ওঁ।
আঙুলের জার্নিজার্নি-ই বটে। জাগ্লিং চটচটে।
রাজপ্রাসাদ মোড়ানো নিখুঁত। দৈবগিরির আরাম বোলানো বাবুই।
চাতকমেশানো। ঘরভর্তি ঘড়াভর্তিবাঁড়াভর্তি।
যন্তর আর মন্তরে চটকা আর চটকি।
কবিতা-টবিতা দু পাশে সরিয়ে বিনয় বললেন ...
একটু ফাঁক করো তো চাঁদ ... আরেকটু ফা ... ক ...  করো চাঁ... দ

হোশ উড়ানো হোসপাইপ   
তৎসহ ফ্যাদা একশো পঞ্চাশ গ্রাম   


পৃথিবীর সব ভুট্টাই একসময় গ’লে যায়
চাঁদ কিছুতেই তা মানতে চায় না
কিছুতেই মানতে চায় না চাঁদ
ভুট্টা বলে , আজ খুব স্পার্ক  
গরমে কাঁপতে কাঁপতে তোমার b-12 এ ঢুকছি
আর গলতে গলতে ...
ভোল্টেজ বিপুল কে পরিয়ে দিচ্ছে ফাঁস
ফাঁদের দুষ্টুফুঁ পাকিয়ে যাচ্ছে আমির জট
তুমি তো অন্ধ নও চাঁদগো  
দেখতেও পারছো পরিষ্কার আমি খাড়া হচ্ছে
আমি আসছে/ আমি যাচ্ছে/ আমির
সাদাবর-লালবউ এক চতুর্থাংশ গর্তের
পেট্রোলে মিশছে আমার ডিজেলপিণ্ড

আগুন অথবা শিকার যে কোনো ধম্মমানুষের মতোই
আমি গলছে
আমি নিবছে
আর পুঁটকির পিনড্রপ সাইলেন্সকে প্রশ্রয় দিচ্ছে লেডিজ কার্বন    




কিন্তু সত্যি খুবসুন্দর নখের কাজিয়া
বাদামী অ্যারিওলা জানে না ওথেলো বলতে ঠিক
কতখানি শুধু কি অই চাঁদ নাকি ডেসডিমন

নিজের হাতে ভুট্টা গড়তে গড়তে
চিকবাদামদুটি দু’পাশে উথলে ওঠে
মাঝে এতো বই গ্রন্থ এতো
নিপলের বাল্ব যেমন চোখা তেমন শার্প
ফালাফালা তেমনি কিউবিক

রেডিওগ্রাম কাছে এতো ? ভাবা যায় ?
ভ্যলুমের স্বর্ণ চল্লিশা মুঠোয় এমন ? ভাবা কি যায় ?
যে কোনো রাগেই অ্যাকটিভ রোশনাই এখনো
ভুট্টার সুহানা মিনারেল

সুহাগন চাঁদ
জেগে
প্রস্তুত
রাজি




অইখানে এক পাক ঘুরে আসার পরেও ভুট্টার প্রথম অ্যানটেনা আর
চাঁদের দ্বিতীয় থ্রিলারছক লেন বাই লেন সওয়ারি হে ইচ্ছেকবুল
আজ
লেখা
থাক
বরং

না
লেখাবউদিকে ভুলে যেতে বলছি
না
তোমাকে

বলতে
চাইছিযে
এখন
কনফেশনের শিফনসূত্রটি থাক গোটানো
হার্ডবাউন্ডের ভুট্টায় মিশে যাক পেপারব্যাক
চাঁদের ঝকঝকে ব্যাকলেস




ভুট্টা তো একটাই। কখনো সেভাবে চেপেও ধরোনিতবু তাকে দেখেই তোমার চক্ষু। চড়কবৃক্ষ  যেন দেব দর্শন। দ্যুতি যতই , ততোই মোহিত।
ভুট্টার যদি ভাষাই না থাকেনতুন কি আর লিখি বলোগাঁটের খরচে এই যে ভুট্টা করছি আর তাকে দেখেই লুকিং গ্লাসে কেমন দুষ্টুমির ককপিটআয়না পাকানো অণ্ডগোগ্রাসের টেরিটরি এলোমেলো
টলোমলোর এমন ক্ষমতা। চাঁদকে তোমাকেও। মূর্ছা দেবে। গামা আর পারদের থিটা-রে।
অরোরার কোষাকুষি।উপাসনার স্থাপত্য। চাঁদকে অর্গাজমের দেবে তোমাকেও। বোরিয়ালিস।






ভুট্টার গাছ শুধু যোনির পরিবেশকে লাক্সারি দিয়ে সতেজই রাখে না,
ভুট্টাবলের বিচি খাবার লোভে হরেক কিসিমের চাঁদ এখানে আসে
উল্টোসোজায় বুকে মুখে ইত্যাদিতে বসাবসি করে।

সেই কারণে পরিবেশের হারিয়ে যাওয়া সেক্সের ব্রডগেজ রক্ষা হয়।
পৃথিবীর অনেক নারী নিজের চারপাশে এখন এই ভাবে ভুট্টাগাছ লাগিয়ে
যোনিমন্ডলের আর্কিটেকচার বাঁচাচ্ছেন।

আসুন আমরাও সাধ্য মতো চেষ্টা করিআরেকটু কর্মঠ হই।
ভুট্টার শিবশক্তিকে আরও দশ মিনিট শক্ত রাখার, ধরে রাখার
চেষ্টা করি  ...

আসুন ভুট্টা লাগাই,
খেয়াল রাখি বাতানুকূল ভুট্টাগুলি যাতে ছিমছাম স্লিমট্রিম  
আর ঝিমুনিবিহীন খরস্রোত ...

কারণ
ভুট্টা ছাড়া কোনো মোক্ষলাভই কিন্তু থ্রীx হয় না
শিল্প অথবা সাধনা ..এমনকি সামান্য রাম কেষ্টোও হয় না  


  
 
চাঁদের পুরোটাই উঁচু আলের জমিন। আর প্যানটির মূলকাণ্ডটি একটু ছুঁলেই লাফাতে লাফাতে কাছে চলে আসে। প্রাতঃভ্রমণকারীদের মধ্যে কয়েকটি সরল হলুদ , ভুট্টাকে জানিয়েছে , ভোররাতের চাঁদ নাকি কামাল কা সেক্সি ... বাতাস ফাটানো ক্লিটোরিসের তুলো ...
এমন চাঁদের কথা কাউকেই বলতে নেই , এমনকি নিজেকেও নয় ...কি জানি কোথা থেকে যে কি হয় ...  চাঁদের বুকের মতো এতোবৃহৎ দেখা যায়নাকোদেখলেই টিপতে মন করে এমন গোটা গোটা , বোঁটাগুলিও জ্বরে পড়ার জন্যে উদগ্রীব আকুল।
এক জীবনে কম কবিতা লেখেননি ভুট্টা ...  কিন্তু এমন দানাদার মিঠাস আর লালা-লাইটের লা-জবাব  ... আহ! চাঁদকে মনে পড়তেই , উঠছে দাঁড়িয়ে ... দাঁড়িয়ে ... আর রাখা যাচ্ছে না নিজেকে সংযত ... নিজের সাথেই নিজের ...
বিনয়কে নেভাতে ভুট্টা বাঁধলেন হাতের সাথে জুটি ...



গতকাল করাকরির পর থেকে ভুট্টার জন্মদিন মৃত্যুদিন সব ... মুছে ... মুছে গেছে ... ভুট্টা আর ডাইনে হাঁটছেন না , বামদিকেও নয় । চাঁদ ছাড়া কোথায় আর এমন গৃহ আর গৃহস্থ টারজান ... সোজাসুজি আর স্পষ্ট। নাচছে পেনিস। পেনিস গাইছে চতুরকলম ... মৃদঙ্গম ...
তিরতির বন্যায় আহাচাঁদ না থাকলে এমন জোশ আসে কোথা থেকে ... এমন টপলেস চাঁদে টপমোস্ট উচ্চতায় ... এমন চাঁদসহিত বিন্দু ঘাম-ঘাম...
চাঁদের চারপাশ। পিউবিক আঁচড়।  
ভুট্টা লক্ষ্য করেছেন হাজার নীহারিকার হেয়ারবেঢপ হাসি লাখো অট্টমাইল, কোটি।  
না ... আর ভাবতে পারছেন না ভুট্টা। কুঞ্জে কুঞ্জে নড়ছে পশম... বাদামী রেশম
এই যাঃ  ... হোয়ে এলো ...  পিকাসোর ডলোমাইট আর মাত্র পাঁচকদম ...



১০

এইমাত্র ভুট্টা
গর্তের বাইরে মুখ
গর্তের মুখে হাজার মাও-চে
ভুট্টার জিভ খলিল জিব্রানে  

গুটুর গুটুর এইমাত্র ভুট্টা
কোক –ওভেনের তুবড়ি

শেলি নামের এক চিত্রকর
পল গগাঁ নামে এক কবি
জলে প্যাস্টেলে কবি কবিতায় লুঠপাট
মক্কা-মদিনা কামরূপী কামাখ্যা

যম ও এমন জমজমাট
দাঁড়ানো ভুট্টা নেমেছে যেই

ফাঁকা চিয়ার্স তিরতিরিয়ে এক কাপ টঙ  
হাল্কা বমির পরে ভুট্টা এখন ঠাণ্ডাসিরিজ



১১

ভুট্টার ক্ষেত্রটি নিভৃত পারমুটেশনের। ভুট্টার স্থাপত্য না প্রাচীন না আধুনিকনা আলট্রা রোশনি পরাজগতেরভুট্টার বিয়ে চাঁদের সাথে। ওয়াইড অ্যাঙ্গেলে শুভবিবাহ
সব পেয়েছির ভুট্টা খেলে
চাঁদ ভেসে যায় ইস্কনের জলে
চাঁদকে দেখলে লিঙ্গরাজের শ্রাগ আর তীরকামান শুনলেই চাঁদের কমরেড। বাস্তিল অবধি। চাঁদ একটি দুর্গ গোলাকার। পা ন সে  তলোয়ার গুঁড়িয়ে একশানেতিয়ে পড়ার আগে ভুট্টার আকার ধূসর গ্রেকানকোর হাউন্ডনোনতা বেশী সুগার কম পাউন্ড।
সত্যি কথা বলতে কি।
ভুট্টাই একমাত্র গিলোটিন যে চাঁদের ভ্যাটিকান সিটিতে ওড়ায় ল্যাওড়া-পতাকা ... তবেই না , চাঁদের গায়ে এমন বাইবেলের স্যাটেলাইট আর জিপসি আলোর ছটা
আর ভুট্টাও ... জন্তু নয় জানোয়ার নয় পাখিও নয় ...তবু কেমন ডিম পাড়ছে মাতৃভাষায়।



১২

ভুট্টাকে আজ দেখছি দারুণ

বেহালা থেকে যাদবপুর
গড়িয়া থেকে মধ্যমগ্রাম
রাসবিহারী থেকে রুট বদলে বদলে
টাটকা পায়রার মতো বিচি ফড়ফরিয়ে
বর্গফুটের উন্নতি কোণ থেকে চাঁদের বাঘিনী
প্রচুর প্রচুর সাদা সাদা চেহারার বক ঝরিয়ে

দ্যাখো দ্যাখো
চাঁদ কেমন মুখে নিয়েছে ভুট্টা আর বেসামাল জিভ দিয়ে চাটছে ছাল চামড়া
দ্যাখো দ্যাখো
ভুট্টা কেমন মুখে করেছে পাগলাটে চাঁদ ফেস্টুনখোলাচুল শুষছে মাসিক বাল     

আর এইসব দেখেশুনে হিংসুটে
গান্ডুরা চুষছে থমথমে মাস্টারবেশন


                                                                   (শিল্পঋণ : Gian Lorenzo Bernini)

14 comments:

  1. পুরো সমগ্রটাই পড়লাম। যেভাবে যৌনতা আর তার অবদমনের ইতিবৃত্ত লিখলে, যেভাবে তার উত্‍সার ঘটালে শব্দে শব্দে, উত্থিত ফেনার মতো, বা স্খালনের মতো, বা শৃঙ্গারের মতো, যার অনপনেয় গতি, তা শুধু তোমার পক্ষেই সম্ভব। তোমাকে কুর্নিশ বন্ধু। আহা ভুট্টা, তোমার তেল আজ থইথই …

    ReplyDelete
  2. এভাবে কেউ লেখেনি ,,,যেভাবে পুং সমাজকে কষে একখান চপেটাঘাত করলে ,,,অকল্পনীয় । আরও চাবুক হোক ।

    ReplyDelete
  3. এক জন পাঠক হিসাবে কবি বিনয় মজুমদারের পর কোন লেখা এতোটা নাড়িয়ে দিয়ে গেলো - তাই মন্তব্য না করে পারলাম না।
    ভুট্টা, চাঁদ, গুহার আবেদনের পরেও কবিতার ভাষা যেন আর এগিয়ে গেলো , ভাবনা এগিয়ে গেলো, এই গতি এই প্রবাহ এই কথন ...

    ReplyDelete
  4. ভুট্টা নিয়ে বিনির্মাণ যথেষ্ট পরিশ্রমসাধ্য কাজ। কিন্তু করেছেন খুব সাবলীল গতিতে। দারুণ। এই ধরনের কাজ আরো হোক।

    ReplyDelete
  5. ১২ খণ্ডের ভুট্টাকাণ্ড, লা-জবাব !

    ReplyDelete
  6. রত্ন তুমি । ভুট্টাখোর ।
    যতো সুখ । ততো জোর ।

    ReplyDelete
  7. পার্থসারথি গিরিJune 19, 2017 at 10:59 PM

    অনেক হাবিজাবির মধ্যে ঠিকঠাক লেখা। কেন লিখছি খুব স্পষ্ট। কেন পড়ছি তাও খুব পরিষ্কার।

    ReplyDelete
  8. জীও বস্ জি।জীও

    ReplyDelete
  9. পাঠকের দিকে সহাস্য চ্যালেঞ্জ ছুঁড়ে দেবার মতো কবিতা তো মাঝে মধ্যে লেখা হয়। এটা সেইরকম। সময় নিয়ে পড়লাম। অনেকবার। ভুট্টার এত সুস্বাদু পদ আগে খাইনি। এত বিনয়ী, এত উদ্ধত ... আগে হয়নি। বাংলা কবিতা কত কী পারছে।

    ReplyDelete
  10. This comment has been removed by the author.

    ReplyDelete