রাইফেলের দিন
যেটা রাতে হয়
সেটা রাইফেল
গুলি গুলি চোর ও হাতি
ছুটে গিয়ে পড়ে
রাস্তায়
ল্যাম্পপোস্ট ভর্তি শাহজাদা
আমি বললেই
মাছি ও মশা দৌড় হয়
গলা
ধরে আসে
পেনের সীসের মতো
যদি গাছ কখনও কথা বলতে পারে
পেনের সীসের মতো
যদি গাছ কখনও কথা বলতে পারে
সাদা পাতার একটা অংশ
কালো বস্তুটার মতো
সাদা নয়
এরকম একটা ধারণা থেকে
সন্ধ্যেবেলায় বাজার যাই
ওষুধ কিনি
খাতার পাতা নষ্ট করে
আনন্দ পাই
মলাট আমাকে
রেলিঙের উপযোগিতা শেখায়
কালো বস্তুটার মতো
সাদা নয়
এরকম একটা ধারণা থেকে
সন্ধ্যেবেলায় বাজার যাই
ওষুধ কিনি
খাতার পাতা নষ্ট করে
আনন্দ পাই
মলাট আমাকে
রেলিঙের উপযোগিতা শেখায়
ভরসা -
ক্যান্সার
"জানি, আমার ভরসারা
কাচের মতো স্বচ্ছ
শুধু জল লেগে থাকে"
"জানি, আমার ভরসারা
কাচের মতো স্বচ্ছ
শুধু জল লেগে থাকে"
অক্ষর -> শব্দ -> বাক্য -> রচনা ->
একটা অসমাপ্ত সংখ্যা
ব্রেন ক্যান্সারের মতো
ছড়িয়ে পড়ছে
একটা অসমাপ্ত সংখ্যা
ব্রেন ক্যান্সারের মতো
ছড়িয়ে পড়ছে
ভরসারা দেহাতী হয়
করমাতোহেলেবাবাগোওওওওও..... আমি
মা বাবা ও আমি
ত্রিভুজের শীর্ষবিন্দু ধরে আছি
ভরকেন্দ্রবিন্দুতে সামান্য ছিদ্র
ভরসা থাকুক গা
গাছ ও হিস্ট্রিতে
যেকোন সামান্য ভগ্নাংশে
হাত মেলে দিই
তক্তার মতো
সোজা
মা বাবা ও আমি
ত্রিভুজের শীর্ষবিন্দু ধরে আছি
ভরকেন্দ্রবিন্দুতে সামান্য ছিদ্র
ভরসা থাকুক গা
গাছ ও হিস্ট্রিতে
যেকোন সামান্য ভগ্নাংশে
হাত মেলে দিই
তক্তার মতো
সোজা
মেঘের ওপর থেকে হিম ঝরে যায়
বাক্য
ভেঙে শব্দ। শব্দ -> অক্ষর। এবার অক্ষর নিয়ে ভাঙতে থাকুন। মাধ্যমিকে পড়া অনু পরমানু বিষয়ক চিন্তাভাবনা গুলো মনে পড়বে। বিরক্ত হয়ে
যাবেন। ঠান্ডা হবার চেষ্টা করবেন। তারপর ভাববেন অক্ষরভাঙ্গা আসলে কতক বাঁকাচোরা লাইন,
ভাঙাচোরা দাগ। মাঝেমধ্যে চা-বিস্কুট-তেজপাতা আর সূর্যশিশির-পাতাঝাঁঝির বাগান। সামনে
বাবার ছবি, পাশে মা বসে। সুতরাং মাদুরের অস্তিত্ব নেই।
ধীরে অথচ দ্রুতলয়ে কালাওষুধ ছাড়ানোর দিন এগোচ্ছে মানে মৃত্যুর সময়জ্ঞান আছে অর্থাৎ মৃতেরা জড় হলেও মৃত্যু অত্যাধুনিকভাবে জীবিত। আসলের কোনও নকল হয় না, বরং নকলরাও আসল।
"ভরসা" শব্দটা অশরীরী হয়ে উঠছে। ভয় বাড়ছে, শ্বেতকণিকা কমে যাচ্ছে। এ্যালার্জিরা সদর দরজায় দাঁড়িয়ে হাত নাড়ছে ---- ওয়েলকাম।
ধীরে অথচ দ্রুতলয়ে কালাওষুধ ছাড়ানোর দিন এগোচ্ছে মানে মৃত্যুর সময়জ্ঞান আছে অর্থাৎ মৃতেরা জড় হলেও মৃত্যু অত্যাধুনিকভাবে জীবিত। আসলের কোনও নকল হয় না, বরং নকলরাও আসল।
"ভরসা" শব্দটা অশরীরী হয়ে উঠছে। ভয় বাড়ছে, শ্বেতকণিকা কমে যাচ্ছে। এ্যালার্জিরা সদর দরজায় দাঁড়িয়ে হাত নাড়ছে ---- ওয়েলকাম।
(চিত্রঋণ : Pawel
Kuczynski)
করমাতো......দুর্ধর্ষ
ReplyDeleteবেপরোয়া লেখা। অভ্যাসের বাইরে। অবোধ্যতাকে খুঁড়ে, নিজের বোধ জাগানো লেখা।
ReplyDeleteপ্রথমে রাখা তিনটি লেখা রাণা বসু আগের পড়া কবিতাগুলো সঙ্গে একটা সম্পর্ক রেখা টেনে নিতে পারি, ভালো। শেষ লেখাটি সত্যি দুর্ধর্ষ!
ReplyDeleteবাংলা কবিতা দশকের পর দশক কেন বেঁচে থাকে আর নতুন হয়ে ওঠে বুঝতে অসুবিধে হয়না...
ReplyDeleteদারুন বলে ছোট করব না এই লেখাকে...জীবনে এমন কিছু কিছু জিনিস আছে সে গুলি আসলে কবিতা আর লিখতে হয় না... এমনি হয়ে যায়
ReplyDelete@ অভিষেক ঘোষ
রাণা আমার ভালো লাগা কবি। চমৎকার কবিতা। বোধ নিঙড়ে লেখা যেন।
ReplyDeleteosomvob valo
ReplyDelete