বাক্‌ ১১১ : রঙ্গন রায়




একটি উদ্যান পরিক্রমা

যৌনতার গন্ধ নাকি আঁশটে? অভিজ্ঞতা নেই।
যেহেতু আমি ক্যানসারকে ভয় পাই, তাই
অ্যাশট্রে সংক্রান্ত কিছু লেখার ক্ষমতা আমার নেই,
বিভিন্ন লোক লিখেছে এগুলো নিয়ে অনেক -
আমি এস্কেলেটর হয়ে উঠে যেতে পারি
যেভাবে রাস্তার ধার থেকে কুড়িয়ে নিচ্ছিলাম
কোঁচকানো ১০ টাকা . . . বেলুনওয়ালা হাওয়া
ভরে দিলে মনটা ফুরফুরে উড়ে যায় . . .
নীল ভ্যানের টুংটুং শব্দ মাখানো গতি নিয়ে
এসে গেছেন আখের রস। বাতাস জুড়ে বেড়েই
চলেছে বুদবুদ্; আমার একটা জ্যামিতি বক্স ছিল ...
স্টিকার সংগ্রহের বাতিক থাকলেই মস্তিষ্ক সুস্থ থাকে।
জোকারের মুখোশ বিক্রিওয়ালা এসে দাঁড়ালেন এক্ষুনি
সবেমাত্র সেজে উঠছে দেওয়ালসহ হাতঘড়িরা
একটা জুতোর মতো স্লিপকে শিশুরা কল্পনা করে নিচ্ছে
বিভিন্ন ভাবে - যেভাবে পিকাদনের আলোর রং বর্ণনা
সমস্ত শিশুরা করে গিয়েছে হিরোসিমা নাগাসাকিতে . . .
একজন অন্ধের সঙ্গে পরিচয় ছিল ট্রেনের দীর্ঘ জার্নি জুড়ে
তার চোখে সূর্যের রং কালো চাঁদের রং কালো অমাবস্যার রং -
জ্যামিতিবক্সের চাঁদা -কম্পাস - পেন্সিল   চোখে নেমে আসতে
চাইলেই জোকারের মুখোশ পড়ে সামনে এসে দাঁড়ান
অকিঞ্চিৎকর ঈশ্বর
আমি মুখোশকে ভয় করি
আমি ঈশ্বরকে ভয় করি
কেননা ঈশ্বর কেড়ে নিতে পারেন আমার পকেটের উপার্জন
শিশুদের মুখের হাসি - আমার স্পার্ক লেগে থাকা লাইফ...
ঈশ্বর আমায় যেকোনো সময় খুন করে চলে যেতে পারেন।
ছোট্ট প্যাডেল বোটের তল দিয়ে কেটে যাচ্ছে
জলের স্রোত . . . শ্যাওলা জুড়ে ধীরে ধীরে ছড়িয়ে পড়ছে
ফোয়ারা ...
অজস্র ভাইরাস হাতে নিয়ে   ফুসফুসভর্তি ছাই নিয়ে
বৃক্ক ভর্তি ড্যামেজ নিয়ে একটা সুবিশাল ওয়ার্মহোল
পেরিয়ে এসেছেন তিনি ফোয়ারার ওপ্রান্তে, ধুঁকছেন
যেকোনো মূহুর্তে ফেটে যেতে পারে ঈশ্বরকণা -
অঙ্কের সংখ্যা আকাশ থেকে পড়বে - ১ ২ ৩ . . .
শূন্য ও দশমিক আকড়ে আমি জ্যামিতি বক্স খুলে বসবো
সমস্ত উদ্যান জুড়ে


                                               (চিত্রঋণ : vasudeo s. gaitonde)

21 comments:

  1. উদ্যান পরিক্রমা মোটের ওপর বেশ লাগল। শেষ দিকটা দুর্দান্ত। - রেনেসাঁ

    ReplyDelete
  2. রঙ্গন,তোমার লেখায় অনেক আলোবাতাস আসছে। মনে হয় আরও বদলাবে তোমার কবিতা।

    ReplyDelete
  3. আমার কয়েকটা জায়গা বেশ ভালো লাগলো। যেমন "স্টিকার সংগ্রহের বাতিক থাকলেই মস্তিষ্ক সুস্থ থাকে "...শুভেচ্ছা রইলো ...আরও লেখো...

    ReplyDelete
    Replies
    1. ধন্যবাদ অনিন্দিতা দি।

      Delete
  4. রঙ্গনের কবিত্ব নিয়ে কোন সন্দেহ নেই। এই কবিতা জুড়ে ঝাঁক ঝাকঁ কাব্যিক জল হাওয়া স্নাত করে গেলো এই পাঠককে।

    ReplyDelete
  5. ছোটবেলার অনেক কিছু মিল পেলাম...দৃশ্য যেভাবে দারুন ভাবে শুরু হল, সেভাবেই শেষ কি হল? না... বেশ ছোট হয়ে এলো মনটা... ভালো লাগল @ অভিষেক ঘোষ

    ReplyDelete
  6. পরিক্রমা করলাম পুরদস্তুর

    ReplyDelete
  7. puro lekha tai kub bhalo... personally jounotar gondho,pikadoner alo,onker sonkha r sunno dosomik aikota line bes bhalo relate krt prlm r bes bhalo lglo

    ReplyDelete
  8. একটি লেখা হিসেবে ভালই লেগেছে। অনেক বাঁক আছে এখানে।

    ReplyDelete